বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদের আয়োজনে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদীর ওপর এ কর্মসূচি পালিত হয়।
পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক মুনাওয়ারুল ইসলাম অলি’র সভাপতিত্বে নৌ বন্ধনে বক্তব্য রাখেন- চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কোতয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম ছবি, ইউপি সদস্য এনামুল হক সাগর, পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদের সচিব মো. মানিক মৃধা, চরকাউয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আ. মালেক হাওলাদার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কীর্তনখোলা নদীর গ্রাসে বিলীন হয়ে গেছে চরকাউয়া ইউনিয়নের কয়েক হাজার একর জমিসহ কয়েক’শ বাড়ি-ঘড় ও বহু স্থাপনা। এখনো হুমকির মধ্যে রয়েছে চরকাউয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ঐতিহ্যবাহী চরকাউয়া আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা, তোফায়েল আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক হাসপাটালসহ হাজার হাজার মানুষের চলার পথ।
কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন এখনো যেভাবে অব্যাহত রয়েছে আগামীতে শহীদ আ. রব সেরনিয়াত সেতু, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় এবং বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠান হুমকির মধ্যে পরে যাবে। অবিলম্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ চরকাউয়া এলাকার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিন কিলোমিটার স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান বক্তারা।
তারা আরও বলেন, ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘বাংলাদেশের নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পের (ডিপিপি) অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞাত ও রহস্যজনক কারণে আজ পর্যন্ত ওই স্কিমের কোনো বাস্তবায়ন হয়নি। এ কারণে দিন দিন কীর্তনখোলার করাল গ্রাসে চরকাউয়া ইউনিয়নটি বরিশালের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে।
নৌকায় চরে এ মানববন্ধনের মাধ্যমে বক্তারা শিগগিরি নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো ব্যাবস্থা না নিলে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘেরাওসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এমএস/জিপি