বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরের দিকে তার স্বজনরা চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেকে নিয়ে আসেন।
চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার লাউতলী গ্রামের আবদুল মালেকের সন্তান ফয়সাল ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু কলেজের ব্যাচেলার অফ আর্টসের (বিএ) ছাত্র।
ঢামেকে দেখা হয় ফয়সালের খালা নাসিমা আক্তারের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি জানান, চাঁদপুর থেকে গতকাল রাতে ফয়সালকে নিয়ে পরিবার তার মতিঝিলের বাসায় উঠেছে। অনেক কষ্ট করে, অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফয়সালকে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসতে পেরেছে।
তিনি জানান, ব্লু হোয়েল গেমসে আসক্ত হয়ে ফয়সাল ভবন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা পর্যন্ত করেছে। তার হাত কেটেছে, ব্লেড দিয়ে কেটে হাতে মাছ এঁকেছে সে।
ফয়সালের সাথে কথা বলার পর বাংলানিউজকে সে বলেছে, আমি ব্লু হোয়েল গেমস খেলতে খেলতে ১০ ধাপ পর্যন্ত গিয়েছি। এরপরই অ্যাডমিন আমাকে খুব বাজে ও কুৎসিত মন্তব্য মন্তব্য করেছে। অনেক ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখিয়েছে। আমি আর এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।
ফয়সালের এ বক্তব্য থেকেই অনুমান করা যায়, কতোটা ভয়ানক বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল এবং যাচ্ছে সে।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. জুয়েল বাড়ৈ জানান, ফয়সালকে তার স্বজনরা চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। তার দুই হাত ব্লেড দিয়ে কাটা ছিল। সে তার বাম হাত ব্লেড দিয়ে কেটে তাতে তিমি মাছ এঁকেছে।
ডা. জুয়েল বাড়ৈ আরো জানান, ফয়সালের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, ‘তুমি হাত কেটেছো কেন?’ তখন সে জানায়, ব্লু হোয়েল গেমসের অ্যাডমিনরাই তাকে হাত কাটতে বলেছে। তাকে ঢামেকের আউটডোরের মানসিক চিকিৎসা বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
ফয়সালের খালাতো ভাই মেহেদি আশরাফ লিমন জানান, ঢামেকের বহির্বিভাগে মানসিক চিকিৎস দেখেছেন ফয়সালকে। তারা ফয়সালের সাথে অনেক কথা বলেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে তারা ফয়সালকে আবার আসতে বলেছেন। বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এজেডএস/জেএম