বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এনডিসি শংকর চন্দ্র বৈদ্যের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ জেল-জরিমানা করেন।
এর আগে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সদর হাসপাতাল ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালিয়ে ১০ দালালকে আটক করে মাদারীপুর র্যাব-৮ এর একটি দল।
পরে বিকেল ৩টার দিকে সদর হাসপাতাল চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে হাসপাতালের পাঁচ দালালকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেয়া হয়।
হাসপাতালের পাঁচ দালাল হলেন- আশিক দাস (২৫), কিরণ বেপারী, আল আমিন খান (২৩), সবুজ দাস ও আলম ফকির (২৬)।
অপরদিকে দুপুর ২টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পাঁচ দালালকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।
এদের মধ্যে সমীর কর্মকার (৫০) ও আমান উল্লাহকে (৫২) এক মাস করে, ইসমাইল হোসেন মৃধা (৩৫) ও কামাল হোসেনকে (৩৪) ১৫ দিন করে এবং জাকির হোসেনকে (৩৪) সাতদিন কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
র্যাব-৮ মাদারীপুর ক্যাম্পের মেজর মো. রাকিবুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি সদর হাসপাতার ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য রয়েছে। যারা বিভিন্ন সময়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সদর হাসপাতাল ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালাই।
এসময় সদর হাসপাতালের পাঁচজন ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পাঁচজনসহ মোট ১০ দালালকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের জেল-জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শংকর চন্দ্র বৈদ্য বাংলানিউজকে বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণ ও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে সদর হাসপাতালের পাঁচজন ও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পাঁচজনসহ মোট ১০ দালালকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
আরবি/