বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে দুদকের উপপরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা ও কলাবাগান থানায় মামলা করেন বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
বাংলানিউজকে তিনি জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহিদুল আলম ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৪ হাজার ৪৫০ টাকা পাচার করেছেন।
দুদক সূত্রে জানা যায়, শহীদুল আলম রাজধানীতে বেসরকারি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে নিজের নামে সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। এরপর ২০০২ সালের ৯ জুলাই থেকে ২০০৫ সালের ২০ মার্চ সময়ে ১ কোটি ৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা জমা করে আবার সেই অর্থ উত্তোলন করেন। অন্যদিকে যমুনা ব্যাংকের সোনারগাঁ রোড শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে ২০০৪ সালের ২৩ মার্চ থেকে ২০০৪ সালের ১৯ অক্টোবর সময়ে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা করেন, এবং একই শাখাতে এসটিডি হিসাবে ২০০৪ সালের ১৯ অক্টোবর থেকে ২০০৭ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ভুয়া ব্যক্তি সাজিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৪টি এফডিআরের মাধ্যমে কৌশলে পাচার করেন।
আরো জানা যায়, এবার সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় গোপন করে সাউথ ইস্ট ব্যাংকের নিউ ইস্কাটন শাখায় প্রাইভেট ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। সেই হিসাবে ২০০৪ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সময়ে ১ কোটি ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ৪৫০ টাকা জমা করেন। কিন্তু পরে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। শুধু তাই নয়, ভুয়া ব্যক্তি সাজিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২টি এফডিআরের মাধ্যমে এই অর্থ স্থানান্তর করেছেন।
এদিকে কমিশন ২০০৯ সালের ১১ নভেম্বর কমিশনে সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে বলা হলে আসামি শহিদুল আলম ২০১০ সালের ১৪ জানুয়ারি সম্পদ বিবরণী দখিল করেন। পরবর্তীতে দুদকের অনুসন্ধানে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীসহ প্রাপ্ত তথ্যাদি যাচাই বাছাই ও পর্যালোচনাকালে দেখা যায় যে, মো. শহীদুল আলম ২৪ লাখ ৪২ হাজার ৪৯৫ টাকার তথ্য দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে গোপন করে মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন। যা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে গণ্য। যা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) এবং ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ কারণে তার বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৭
এসজে/জেডএম