আসামিরা হলেন- কাজীরহাট থানার ওসি মো. মাসুম তালুকদার, এসআই মো. তারিক হাসান রাসেল এবং কাদিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা মৃত হানিফ সিকদারের ছেলে মো. সুমন সিকদার ও সোহাগ সিকদার, মৃত কালাই হাওলাদারের ছেলে জহির হাওলাদার, মৃত ওহাব কাজীর ছেলে মিজান কাজী।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন কাজীরহাট থানার কাদিরবাদ এলাকার মৃত ফতে আলী সিকদারের ছেলে মিজানুর রহমান সিকদার (৪০)।
আদালত ঘটনার তদন্ত করে সার্কেল এএসপিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বাদীর ওয়ারিশি ভোগ দখলীয় সম্পত্তির ওপর আসামি জহির হাওলাদার, মিজান কাজী ও সোহাগ সিকদার জোরপূর্বক টিনের ঘর উত্তোলন করেন। এ ঘটনায় কাজীরহাট থানার ওসি ও মামলার ১নং আসামির নির্দেশে সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি। পরবর্তীতে ১নং আসামি নিজ উদ্যোগে শালিস বৈঠক করে জোরপূর্বক উত্তোলন করা ঘর ভেঙে ফেলতে ২নং আসামির (থানার এসআই) সহায়তায় ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।
কিন্তু এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ১ ও ২নং আসামি বাদীকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো, হত্যাসহ নানাভাবে হুমকি দেন। এরপর থেকে বাদীকে পর পর দু’টি মামলায় আটক এবং কারাগারে পাঠানোর আগে উৎকোচ দাবি করে কিছু টাকা আদায় করেন আসামিরা। পাশাপাশি আরো একটি মামলায় বাদীকে গ্রেফতার (শ্যো’ন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়।
অন্যদিকে একটি মামলায় গ্রেফতারের সময় মামলার ১ থেকে ৬নং আসামি বাদীর বসত-ঘরের আলমিরা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ ও মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যান বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়।
সর্বশেষ গত সোমবার (২৩ অক্টোবর) বাদী মামলায় জামিন নিয়ে মুক্ত হলে ১নং আসামি থানার ওসি পরদিন মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) তাকে হত্যার হুমকি দেন।
এরই প্রেক্ষিতে বাদী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময: ২১২৩ ঘন্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
এমএস/এএসআর