দ্বিতীয় দফায় বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া তাহমিনা আক্তার ফরিদা শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি পাহাড়সংলগ্ন এলাকার ফখরুল মিয়ার কন্যা।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকার বাসিন্দা জনৈক মজিদ মুন্সির ছেলে ৫৭ বছর বয়সী মো. নজরুল ইসলামের সঙ্গে শুক্রবার কনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহেদা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মাসের ১৯ অক্টোবর তাহমিনা আক্তার ফরিদাকে তার মা-বাবা প্রথমবার বাল্যবিয়ে দেবার চেষ্টা করলে আমরা তা বন্ধ করে দেই। পুনরায় তার মা-বাবা দ্বিতীয়বারের মতো শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) তার বিয়ের দিন ধার্য করে। সেই অনুযায়ী কনেকে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) গায়ে হলুদ দিয়ে সাজানো হয়। এ খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে মেয়েটিকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কনের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিয়ের প্যান্ডেল তৈরিসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ৫ম শ্রেণির ছাত্রী তাহমিনা ৫৭ বছর বয়সী বরের সঙ্গে বিয়েতে রাজি ছিল না। তাকে তার পরিবার জোর করে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। তাহমিনার পিতা তাকে বিয়ে দেয়ার জন্য বরপক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এই মেয়ের সাথে তার বিয়ে না হলে বর নাকি বিষ খাবে বলে মেয়েটির মা-বাবাকে হুমকি দিয়েছে।
মহিলা বিষয়ক ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ১১ বছর বয়সী মেয়েটিকে ৫৭ বছরের বৃদ্ধের সাথে দ্বিতীয় দফায় বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। সে জন্য মেয়েটিকে সিলেট সেফ হোমে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আপাতত সে শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে থাকবে। পরবর্তীতে আদালতের মাধ্যমে তার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
ঘটনার পর থেকে তাহমিনা আক্তার ফরিদার বাবা পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৭
বিবিবি/এমেজএফ