সকাল থেকেই ঘন কুয়াশা সেই সাথে মৃদু শীতের অনুভূতি। এটাই কুয়াশা ঢাকা শীতের প্রথম সকাল।
সারা রাতের হিম অনুভূতিতে স্নাত হয়েছে প্রকৃতি। কার্তিকের এ সকাল পূর্ণ হয়ে উঠে কুয়াশা জড়ানো সৌন্দর্যে। এ কুয়াশার ফলে আকাশ দেখা যায়নি।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে দেখা যায় মহাসড়কে গাড়ি চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। জমে থাকা এ কুয়াশায় অনতিদূরে দেখা যায় না কিছুই। কুয়াশা ঘন হয়ে সূর্যরশ্মিকে বাধাদান করে রয়েছে। ফলে সূর্য তার উত্তাপ ছড়াতে পারছে না।
কুয়াশার কারণে পাকা সড়ক থেকে চা বাগান দেখা যাচ্ছে না। চায়ের প্রকৃতিকে কুয়াশা তার নিজস্ব চাদরে ঢেকে দিয়েছে। চায়ের সবুজ পাতায় পাতায় জমে থাকা শিশির কণাগুলো শীতের এ শহরে এক অবর্ণনীয় সৌন্দর্য। সিক্ততায় ভরে উঠা পাতাগুলো একে অপরের সাথে দারুণভাবে সংযুক্ত। সকালে কাজের ব্যস্ততায় শ্রমিকরা বেরিয়ে পড়েছেন কিন্তু কুয়াশা আর মৃদু শীত তাদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে নি। এ সব শ্রমিকরা প্রতিদিন সকালে ঠেলাগাড়িতে করে আনারস-লেবু নিয়ে আসেন শহরের বাজারে। এ চালকদের দৈনিক পরিশ্রমের কাছে শীত কখনোই পেরে উঠতে পারে না।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টায় শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সকাল ৯টায় তাপমাত্রা মাপা হলে পাওয়া যায় ১৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশা থাকলে তাপমাত্রা কমে না। কুয়াশা না থাকলে আরো বেশি তাপমাত্রা কমে যায়। মাটিতে যে তাপটা থাকে সেই তাপটা আকাশে উঠে যেতে পারে না, আটকা পড়ে ফলে অপেক্ষাকৃত গরম লাগে। কিন্তু যখন ফাঁকা থাকে তখন তাপটা উপরে চলে যায়। আর উপরের ঠান্ডা তাপটা নিচে আসে, তখন আরো বেশি ঠান্ডা লাগে বলেও জানান আবহাওয়াবিদ আনিসুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৭
বিবিবি/আরআইএস/