মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকালে রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক বলেন, রাষ্ট্রপতি মূলত সেনানিবাসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন। কিন্তু তিনি এক সময় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ডে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে ছিলেন। তাই সেই খাপড়া ওয়ার্ডটি পরির্দশনের ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এছাড়া রাজশাহীর পদ্মা নদীর তীরে থাকা টি-বাঁধ পরিদর্শন করবেন। সেখানে তিনি কিছু সময় কাটাবেন। এর জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শহর রক্ষা বাঁধের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। টি-বাঁধের সৌন্দর্যকে আরও বিমোহিত করার কাজ চলছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এখানকার প্রস্তুতির কাজ চলছে। তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক), গণপূর্ত বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জনস্বাস্থ্য অধিদফতরও যুক্ত রয়েছে।
এদিকে, রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে শহরের টি-বাঁধের গেটের সামনেই গাড়ি ওঠানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ সিঁড়ি। পদ্মায় ভ্রমণে যাওয়ার জন্য এ সিঁড়ি তৈরি করা হয়েছে।
আর টি-বাঁধের ওপরে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ছাউনি। পাশেই তৈরি হচ্ছে অস্থায়ী শৌচাগারও। প্রতিটি গাছের গোড়া ইট দিয়ে বাধায় ও রঙ করে বিশেষভাবে সৌন্দর্য বর্ধন করা হচ্ছে।
সফরসূচি অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাজশাহী সেনানিবাসে প্যারেড কমান্ডো-১ ব্যাটালিয়ানের পতাকা প্রদান করবেন। তবে আগের দিন বুধবার তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার এবং পদ্মার টি-বাঁধ পরিদর্শন করবেন। সেখানে তিনি কিছু সময় কাটাবেন। এরপর পদ্মায় নৌ-ভ্রমণে বের হবেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৭
এসএস/ওএইচ/