যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমন বিলম্ব হয়েছে বলে জানান সিলেট রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কাজি শহিদুর রহমান।
২০ মিনিটের বিলম্ব সঙ্গী হয়ে ঢাকা পর্যন্ত থাকলো সিলেট থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন উপবন এক্সপ্রেসের।
বুধবার (১ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টায় এসে পৌঁছানোর কথা থাকলেও ৪টা ৫০ মিনিটে পৌঁছানোর কথা নিশ্চিত করেন ঢাকা বিমানবন্দরের কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টার।
তবে নিজের নাম বলতে অনীহা প্রকাশ করলেন বিনা টিকিটে পাকড়াও করা জনৈক যাত্রীর কাছ থেকে টাকা আদায়ের মহেন্দ্রক্ষণে। যেন সাংবাদিকের উপস্থিতিটাই তার কাছে বিরক্তের কারণ। মুখে না বললেও ভাবভঙ্গিতে এমনটি প্রকাশ পায়।
তারপরও ট্রেন তাড়াতাড়ি পৌঁছেছে বলেন রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফর্মের ফাস্ট ফুডের দোকানি মাহিন।
তিনি বলেন, অন্য দিন ট্রেন একটু দেরিতে আসে। তাড়াতাড়ি ট্রেন আসলেও ছিনতাইয়ের কবলে পড়ার ভয়ে অন্ধকারে লোকজন বেরিয়ে যেতে পারে না।
বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে যখন দাঁড়িয়ে, তখন মসজিদের মাইকে ফজরের আযান দিচ্ছিলেন মুয়াজ্জিন।
ট্রেনে আসা যাত্রীরা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন ভোরের। কেউ চেয়ারে বসে তন্দ্রাভাবটা কাটানোর প্রয়াস।
উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনে সিলেট থেকে আসা ‘গ’ বগির ৮ নম্বর বার্থ প্রথম শ্রেণির যাত্রী পঞ্চাশোর্ধ্ব লিয়াকত আলী বাংলানিউজকে বলেন, সব সময় ট্রেনে আসা-যাওয়া করি। বাস থেকে ট্রেনে ভ্রমণই তার কাছে আরামদায়ক। বিমানবন্দরে আসার আগেই ট্রেনের বগির কর্তব্যরত লোক তাকে ডেকে তুলে দেন।
তার কথা শেষ না হতেই পাশে স্বস্ত্রীক দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী আরফান আহমদ বলেন, বাসে আসলে রিস্ক, তাই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে সব সময় ট্রেনে ভ্রমণই তার পছন্দ।
উপবন বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে ঢাকা পৌঁছানোর পর ছেড়ে গেছে মৈত্রী এক্সেপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, চট্টগাম মেইল, কমিউটার ট্রেন, রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ধূমকেতু এক্সপ্রেসসহ অন্তত ১০টি ট্রেন আসা-যাওয়া করেছে। ঘড়ির কাঁটায় সকাল সাড়ে ৬টা তখনও অপেক্ষার প্রহর গুণতে দেখা যায় আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেসের যাত্রীদের।
ট্রেনে আসার পর নিরাপদে গন্তব্যে নিশ্চিন্তে ফেরার জন্যই যেন তাদের এমন অপেক্ষা।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
এনইউ/আরআর