ঢাকা, সোমবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীতে নিজ বাসায় মা-ছেলেকে জবাই 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৭
রাজধানীতে নিজ বাসায় মা-ছেলেকে জবাই  নিহত সাজ্জাদুর করিম শাওন, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর রমনা থানার কাকরাইলের একটি বাসায় মা ও ছেলেকে জবাই করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিপরীত দিকে গলির ৭৯/১ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।  

নিহতরা হলেন- করিম টাওয়ার নামে ওই বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬) ও তার ছেলে শাওন (১৯)।

 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল বলেন, ওই বাসায় মরদেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি ছয়তলা ফ্ল্যাটটির ৫মতলায় গৃহবধূ শামসুন্নাহারের জবাই করা মরদেহ পড়ে আছে।  

‘আর ১৯ বছর বয়সী এক তরুণের মরদেহ পড়ে আছে ফ্ল্যাটের ৪তলার সিঁড়িতে। তবে এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। ’

ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
স্থানীয় লোকজন জানান, সন্ধ্যার পর ওই বাসার দারোয়ান নোমান বাইরে এসে চিৎকার করলে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানাজানি হয়।  

আব্দুল করিমের বাসার গৃহকর্মী রাশিদা বেগম (৫০) জানান, বিকেলে ওই বাসায় কাজ করতে আসেন তিনি। এসেই রান্না ঘরে গিয়ে থালা-বাসন ধৌত করার কাজে লেগে যান। কাজের এক পর্যায়ে কেউ-একজন রান্না ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে দেয়।  

‘এ সময় আমি চিৎকার শুরু করি। বাড়িওয়ালি খালাম্মাকে ডাকলেও কোনো সাড়া পাই নাই। তবে শামসুন্নাহারের ‘বাঁচাও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার শুনতে পাই। এ পর্যায়ে চিৎকার শুনে দারোয়ান নোমান দরজা খুলে দেন। আর তখনই দৌড়ে বের হয়ে খালাম্মারে পড়ে থাকতে দেখি। তার সারা শরীরে রক্ত,’ বলেন গত মাসে কাজে যোগ দেওয়া রাশিদা।  

এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত অবস্থায় এক নারী পড়েছিলেন। আর সিঁড়িতে পড়ে ছিলেন ১৯-২০ বছর বয়সী এক তরুণ। আমরা জেনেছি তারা সম্পর্কে মা-ছেলে। ’

‘মরদেহগুলো উপুড় হয়ে পড়ে থাকায় প্রাথমিকভাবে কোনো আঘাতের চিহ্ন না পেলেও শরীর রক্তাক্ত দেখেছি। কয়েকজনকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ঘটনার সময় বাড়ির মালিক আবদুল করিম বাসায় ছিলেন না। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আরও করা হবে।  

পুলিশ সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহকর্মী রাশিদাসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।  

এ দিকে, নিহত মা ও ছেলের মরদেহ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭/আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা
এজেডএস/এমএ/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।