বুধবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত আব্দুল কাদের গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী কেন্দুয়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে।
নিহতের বড় ছেলে আক্তার হোসেন বলেন, বরমীবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পান ও ফলের ব্যবসা করতেন তার বাবা আব্দুল কাদের। রোববার রাতে দোকান বন্ধ করে তিনি বাসায় ফেরেননি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বাবা ওই রাতে বাঘের বাজার এলাকায় জুয়ার আসরে যান। পরে বাঘের বাজার এলাকায় বাবার খোঁজ নিতে যাই। এক পর্যায়ে বুধবার জানতে পারি বাঘের বাজার জুয়ার আসরের পাশে নর্দমার গর্ত থেকে একটি লাশ উদ্ধার হয়েছে। সেখানে গিয়ে বাবার লাশ দেখতে পাই।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত সোমবার দিবাগত গভীর রাতে জুয়া পরিচালনাকারীদের সঙ্গে জুয়াড়িদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় হুড়োহুড়ি ও দিগ্বিদিক ছুটাছুটি করতে গিয়ে ১০/১৫ জন ওই গর্তে পড়ে যান। সেদিন ওই গর্ত থেকে ঢাকার সাভার এলাকার আজিজুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পরই বুধবার ওই গর্ত থেকে আরেকটি লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক নাজমুল হক ভুইয়া জানান, বুধবার বিকেলে ওই গর্তে লাশ ভেসে উঠার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে লাশটি।
এর আগে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ থেকে এ ঘটনায় নিহত ব্যবসায়ী আজিজুর রহমানের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার স্বজনরা নিয়ে যায়। এ নিয়ে গাজীপুরে গুঞ্জন সৃষ্টি হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাহেনুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মো. রাহেনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সফিকুল ইসলাম সফি নামের এক ব্যক্তি অবৈধভাবে বাঘের বাজার এলাকায় ওই জুয়ার আসরটি চালিয়ে আসছিল। ইতোপূর্বে জুয়ার আসরটি গুড়িয়ে দেয়ার পর কয়েকদিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি আবার তা চালু হয়। জেলা প্রশাসন আসরটি উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়ার আগেই সোমবার গভীর রাতে সেখানে মারামারি-সংঘর্ষের পর জুয়াড়িরা ছোটাছুটি করতে গিয়ে জুয়ার আসরের পাশে ১৫-২০ ফুট গর্তে ১০-১৫ জন পড়ে যান। সেখান থেকে দুই জুয়াড়ির লাশ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৭
আরএস/আরআই