বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) বারিধারায় হোটেল এসকট প্লেসে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত 'ডিক্যাব টকে' বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ডি. ওয়াটকিনস এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দুই দেশ আলোচনা চালাচ্ছে।
রবার্ট ডি. ওয়াটকিনস বলেন, জাতিসংঘ চায় তারা তাদের বাড়িতে (মিয়ানমার) ফেরত যাক। শুধু মিয়ানমারের যেকোনো এলাকায় ফিরলে হবে না। তাদের বাড়িঘর তৈরি করে দিতে হবে। তারা যেন নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে।
‘রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলা জাতিসংঘ বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। দুই মাসে ৭ লাখ মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে এসেছে। তাদের মানবিক আশ্রয় দিয়ে সরকার ভালো কাজ করছে। তবে রোহিঙ্গাদের রিফিউজি স্বীকৃতি দেবে কিনা তা বাংলাদেশের নিজস্ব বিষয়’।
তিনি আরও বলেন, এটি সত্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিল রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনবার আলোচনায় বসলেও একবার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রেজ্যুলেশন দিতে পারেনি। কিন্তু রাজনৈতিক চাপ দিতে সক্ষম হয়েছে।
জাতিসংঘের এই আবাসিক সমন্বয়ক বলেন, বাংলাদেশ একটি চমৎকার ভাইব্রেন্ট সমাজ। সাধারণ মানুষজন নানা সংকটে পড়লে জাতিসংঘ সামান্যই করতে পারে। কিন্তু তারা নিজের চেষ্ঠায় এদেশে দাঁড়িয়ে যায়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করার বিকল্প নেই। সবার অংশ গ্রহণের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ হবে এই আশা করি। সব কিছুই ইতিবাচক চলছে। জাতিসংঘ বিশ্বাস করে সম্পূর্ণ কার্যকরী গণতন্ত্রই বিশ্বের জন্য ভালো।
নিরাপত্তা নিয়ে বলেন, আমার তিনবছরের দায়িত্ব পালনে আমি দেখেছি নিরাপত্তা বাহিনী উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। সবচেয়ে বড় কথা হল তারা সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
কেজেড/এসএইচ