মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় মিয়ানমারের নেপিতো শহরে সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শুরু হয়।
বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেনের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের ‘চিফ অব পুলিশ জেনারেল স্টাফ’ পুলিশ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মায়ো সুয়ি উইনের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেয়।
বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ও কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
অপরদিকে সে দেশের প্রতিনিধিদলে এমপিএফ এবং বিজিপি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মাদক ও কাস্টমস বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের এই সম্মেলনে বিজিবি'র পক্ষ থেকে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে- সীমান্ত লঙ্ঘন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ, সীমান্ত এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো, ভূমি ও আকাশসীমা লঙ্ঘন, সীমান্তে সামরিক বাহিনীর চলাচল, মাইন স্থাপন, পুঁতে রাখা মাইন ও বিস্ফোরক অপসারণ, সন্ত্রাসী ও নাগরিকদের আটক ও অপহরণ। আন্তঃসীমান্ত অপরাধ যেমন- মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য বিশেষ করে ইয়াবা পাচার, চোরাচালান দ্রব্য, মানব পাচার, অবৈধভাবে মাছ আহরণ ও বাংলাদেশি জেলেদের ওপর গুলিবর্ষণ। সীমান্ত নিরাপত্তায় পারস্পরিক সহযোগিতা যেমন- নিয়মিত পতাকা বৈঠক, স্থানীয় অধিনায়ক পর্যায়ের বৈঠক, নাফ নদীসহ সীমান্তে সমন্বিত যৌথ টহল ও সীমান্তে যৌথ নজরদারি। পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির পদক্ষেপ যেমন- ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও খেলাধুলা, প্রশিক্ষণ ও সফর বিনিময়, সাংস্কৃতিক কর্মসূচি বিনিময়, উভয় বাহিনীর পরিবার কল্যাণ সমিতির সদস্যদের ভ্রমনসহ বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এছাড়া মিয়ানমারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মন্ত্রী এবং চিফ অব মিয়ানমার পুলিশ ফোর্সের সঙ্গে বিজিবি মহাপরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
সম্মেলন শেষে আগামী ১৮ নভেম্বর (শনিবার) বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল দেশে ফিরবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
এসজেএ/জিপি