ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মাদ্রাসাছাত্র জিদান হত্যায় মূল আসামি বক্কর গ্রেফতার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
মাদ্রাসাছাত্র জিদান হত্যায় মূল আসামি বক্কর গ্রেফতার নিহত জিদান ও গ্রেফতারকৃত বক্কর দু’জনেই মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র (বাংলানিউজ ফাইল ফটো)

ঢাকা: রাজধানীর পল্টন থানার গুলিস্তানের মদিনাতুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র আব্দুর রহমান জিদান (১১) হত্যা মামলার একমাত্র আসামি আবু বক্করকে (১৬) গ্রেফতার করেছে ৠাব-৩।

ওই মাদ্রাসারই সিনিয়র শিক্ষার্থী বক্কর শিশু জিদানের মূল হত্যাকারী বলে ধারণা পুলিশের। মাদ্রাসার শিক্ষক ও অন্য শিক্ষার্থীরাও তাকে খুনি বলে চিহ্নিত করছেন।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাত থেকে বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে সদরঘাট এলাকা থেকে বক্করকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

বুধবার বিকাল ৪টায় কারওয়ানবাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।

শিক্ষকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সোমবার (২০ নভেম্বর) ভোরে মাদ্রাসার বাথরুম-গোসলখানার সেফটি ট্যাঙ্কের ম্যানহোল থেকে জিদানের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। রোববার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয় বলে ধারণা করছেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা।

নিহত জিদান মাদ্রাসাটির হেফজ শাখার ছাত্র এবং ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার জালেরশর গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে। ছেলের মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঢাকায় ছুটে এসে তিনি পল্টন থানায় আবু বক্করের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার পর থেকে আবু বক্কর পলাতক ছিল।

মরদেহ উদ্ধারের পর পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহামুদুল হক ছাত্র-শিক্ষকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছিলেন, আবু বক্কর ও জিদানের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিলো। শিক্ষকরা সেটির মীমাংসা করে দিলে আবু বক্কর আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর ঘুমন্ত অবস্থায় জিদানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।

মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে হাফেজ হয়েছে আবু বক্কর। শিক্ষকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০ পারা কোরআন পড়ে শোনানোর পর মাদ্রাসা ছাড়ার কথা ছিল তার। সিনিয়র হওয়ায় অন্য শিক্ষার্থীদের নেতা বক্কর সবাইকে তার কথা শুনতে বাধ্য করতো।

অন্যদিকে গত চার বছর ধরে মাদ্রাসাটিতে থেকে লেখাপড়া করছিল জিদান।

অন্য শিক্ষার্থীরা বাংলানিউজকে বলেছে, ‘গত কোরবানির ঈদের পর থেকে ওদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। তখন থেকে আবু বক্কর প্রায়ই জিদানকে মারধর করতো। জিদানের সঙ্গে কথা বলতে গেলে আমাদেরকেও মারধর করতো’।

‘প্রায় সময়ই বক্কর আমাদেরকে বলতো- আমি একটা ছুরি কিনুম, জিদানকে খুন করমু’- বলেছে শিক্ষার্থীরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এসজেএ/পিএম/এএসআর

** ‘জাপটে ধরে জিদানের গলায় ছুরি চালায় বক্কর’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।