ঢাকা, সোমবার, ১৫ পৌষ ১৪৩১, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

এবার শিক্ষার্থীদের ‘মানব মানচিত্র’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এবার শিক্ষার্থীদের ‘মানব মানচিত্র’ মানচিত্রটি বিশ্বের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় মানব মানচিত্র বলে দাবি রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: বাংলাদেশের মানচিত্র গৌরবের। রক্ত দিয়ে কেনা এ মানচিত্রের ইতিহাস যেমন বেদনার, তেমন চির গৌরবদীপ্ত ও অহঙ্কারের।

ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ এক সুদীর্ঘ ইতিহাস। টানা নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে জাতি অর্জন করেছে লাল-সবুজের পতাকা, স্বাধীন মানচিত্র।

রক্ত ঝরেছে ভাষার জন্য, স্বাধীনতার জন্যও। তাইতো এ জাতি তার ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায় একেকবার একেক রকমভাবে। কখনো মানব পতাকা, আবার কখনো রচনা করে মানব শহীদ মিনার।

জাতির এ সূর্য সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে বিজয় দিবসে এবার রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীরা রচনা করেছেন ‘মানব মানচিত্র’।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল দশটার দিকে কলেজের মাঠে এ মানব মানচিত্র তৈরি করা হয়। কলেজের ১ হাজার ২০০ জন শিক্ষার্থী একাত্তরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে লাল-সবুজ প্ল্যাকার্ডের ব্যবহারে বিশাল এ মানব মানচিত্র রচনা করেন।

পৌষের শিশির ভেজা মাঠে মিষ্টি রোদের মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী ছিলো মানচিত্রটি।

মানচিত্রটি বিশ্বের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় মানব মানচিত্র বলেও দাবি কলেজের শিক্ষার্থীদের।

কলেজের শিক্ষার্থী নাবিল, তামহীদ ও আহনাফ জানান, মহান বিজয় দিবসের ব্যতিক্রমী এ আয়োজন ছিল অধ্যক্ষের সহযোগিতায় প্রায় ১৫ দিনের পরিকল্পনার ফসল। গত একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কলেজের মাঠে তারা ব্যতিক্রমী  ‘মানব শহীদ মিনার’ তৈরি করেছিলেন। আগের বছর তাদের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে লাল-সবুজ রঙের ‘মানব পতাকা’ করেছিলেন।

কাজটি ভালোভাবে শেষ করতে পেরে তাদের ভীষণ ভালো লেগেছে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।

‘উদ্যোগটাই বড় বিষয়। প্রথম কাজ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া না পাওয়াটা মুখ্য নয়’- বলেন দেশের মধ্যে এবারও প্রথম হওয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মুহা. হবিবুর রহমান বলেন, ‘এটি বিশ্বের প্রথম বা সবচেয়ে বড় মানব মানচিত্র কি-না- সে বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত কেনো বক্তব্য নেই, এটি শিক্ষার্থীদের দাবি। তবে এটি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি যে, মানব মানচিত্র তৈরি করে কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দেশপ্রেম ও সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছে’।

তিনি বলেন, ‘গত বছর আমরা মানব পতাকা তৈরি করেছিলাম। এ বছর মানব শহীদ মিনার ও মানব মানচিত্র করা হলো। শিক্ষার্থীদের এ উদ্যোগ ব্যতিক্রমী বলে মনে হয়েছে। তাই, অনুমতি দিয়েছি এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। সফলভাবে কাজটি শেষ করতে পারায় তাদের সঙ্গে আমিও খুশি’।

‘রাজশাহী কলেজ এখন স্বাধীনতা ও সৃজনশীলতার প্রতীক হয়ে উঠেছে। শিক্ষা, খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও উদ্ভাবনীতে এ কলেজের শিক্ষার্থীরা সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। শিক্ষায় পর পর তিনবার দেশের মধ্যে প্রথম স্থান পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী সরকারি এই কলেজটি’।

ভবিষ্যতেও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের এমন ভালো কাজে তার সহযোগিতা থাকবে বলেও জানান অধ্যক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এসএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।