ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সম্প্রীতি ও শান্তির বাহক এবারের বড়দিন

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
সম্প্রীতি ও শান্তির বাহক এবারের বড়দিন বড়দিন উপলক্ষ্যে রাজধানীর তেজগাঁও ধর্মপল্লী সাজানো হয়েছে বিশেষ সাজে- ছবি:হোসাইন মোহাম্মদ সাগর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঐশ করুনা যিশু, আমাদের হৃদয় তোমার হৃদয়ের সদৃশ করো। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনার এইতো অন্যতম একটি মন্ত্র। সে মন্ত্র ঈশ্বরের হৃদয়ের সঙ্গে মিশে মঙ্গল ছড়িয়ে দিতে চাই সবার মধ্যে। আর সেই মঙ্গল বার্তা নিয়েই এবারে বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন।

বড়দিন হলো পাপ থেকে পরিত্রাণ এবং মুক্তির পথ। পাপ থেকে মানবজাতিকে মুক্তির পথ দেখাতে যিশুখ্রিস্ট ঈশ্বরের শক্তি নিয়ে মানব রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে আসেন।

তার সঙ্গে নিজেদের দৃঢ় প্রত্যয়ে মঙ্গলের পথে চলার প্রত্যয়ই এ দিনের মূল উদ্দেশ্য বলছিলেন রাজধানীর তেজগাঁও ধর্মপল্লীর ফাদার রিপন।

তিনি বলেন, এবারের বড়দিন সম্প্রীতি ও শান্তির বাহক। সম্প্রতি ধর্মপিতা পোপ ফ্রান্সিসও বাংলাদেশে এসে এমনটাই বলে গেছেন। আমাদের বুঝতে হবে যে, ধর্মীয় বিশ্বাসের পাশাপাশি মানব প্রেমটাও অনেক বড় একটি বিষয়।

বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর সমগ্র ধর্মপল্লীগুলোই সাজানো হয়েছে বিশেষ সাজে। রাতে ছিলো প্রার্থনার সূচিও। এছাড়া বড়দিন উপলক্ষে ধর্মপল্লীগুলোতে যেনো কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা বা নাশকতার ঘটনা না ঘটে, সেজন্যও নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এ ব্যাপারে তেজগাঁও ধর্মপল্লীতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তা হাফিজুল ইসলাম জানান, ধর্ম আলাদা হলেও বাঙালি ধর্মীয় উৎসবগুলোকে পালন করে অসাম্প্রদায়িকভাবে। তাই খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি এখানে আগমন ঘটছে অন্য ধর্মের অনুসারীদেরও। এ উৎসবে যেনো কোনো বিশৃঙ্খলা বা নাশকতার ঘটনা না ঘটে, সেজন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বড়দিনের আগে যিশুর জন্মোৎসব উপলক্ষে ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ নেটিভিটি উপবাস পালন করে থাকে। অন্যদিকে পাশ্চাত্য খ্রিস্টধর্মে অধিকাংশ চার্চে অ্যাডভেন্ট পালন করা হয়। বড়দিনের সর্বশেষ প্রস্তুতিটি নেওয়া হয় খ্রিস্টমাস পূর্বসন্ধ্যায়।

বড়দিন উৎসব পর্বের অন্যতম অঙ্গ হলো গৃহসজ্জা ও উপহার আদান-প্রদান। কোনো কোনো খ্রিস্টীয় শাখা-সম্প্রদায়ে ছোটো ছেলে-মেয়েদের দ্বারা খ্রিস্টের জন্মসংক্রান্ত নাটক অভিনয় এবং ক্যারোল গাওয়ার প্রথাও বিদ্যমান।

আবার খ্রিস্টানদের কেউ কেউ তাদের গৃহে পুতুল সাজিয়ে খ্রিস্টের জন্মদৃশ্যের ছোটো প্রদর্শনী করে থাকেন। এই দৃশ্যকে নেটিভিটি দৃশ্য বা ক্রিব বলে। এই ধরনের প্রদর্শনী উৎসবের মুখ্য আকর্ষণ হয়ে ওঠে। কোথাও কোথাও লাইভ নেটিভিটি দৃশ্য ও ট্যাবলো ভাইভ্যান্টও অনুষ্ঠিত হয়। এ জাতীয় অনুষ্ঠানে অভিনেতা ও জীবজন্তুর সাহায্যে যিশুর জন্মদৃশ্যের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
এইচএমএস/বিএসকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।