মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ঘুমধুম সীমান্তের পাশে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ডেকুবনিয়ায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সদস্য বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের প্রধান চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মো. আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- ত্রাণ, শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার বণিক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনসহ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা।
বৈঠকে মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। দেশটির প্রতিনিধি দল বলেছে, তারা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবে।
এদিকে রোহিঙ্গারা বলেছে, তারা পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে ফিরে যাবে না।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ দ্বি-পাক্ষিক চুক্তিতে সই করে। সেই চুক্তিতে দুই মাসের মধ্যে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যেতে পারেননি।
গত বছরের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালালে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে থাকে রোহিঙ্গারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮, আপডেট: ২০১৮ ঘণ্টা
কেজেড/আরবি