স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার (০১ মার্চ) সন্ধ্যায় মিয়ানমারের সেনা সদস্যরা কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে জিরো লাইনে আসতে চাইলে রোহিঙ্গারা বাধা দেন। এ সময় তারা কাঁটাতারের বেড়ার কাছে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে।
এদিকে, তমব্রু সীমান্তে হঠাৎ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েছে। অস্ত্র নিয়ে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে অবস্থান নিয়েছে তারা। ভারী অস্ত্রের পাশাপাশি হালকা অস্ত্রও তাক করেছেন দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ ঘটনায় সীমান্তের জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ সীমান্তেও বিজিবি সতর্ক অবস্থায় থেকে টহল জোরদার করেছে।
রোহিঙ্গারা জানান, সকাল থেকে ৭টি ট্রাকে করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা তুমব্রু সীমান্তের ওপারে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন। সীমান্তের কাঁটাতার বেড়া বরাবর ব্যাংকারগুলোতেও অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরাও পাহাড়া দিচ্ছেন।
জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা দিল মোহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মর্টারসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু রাত পৌনে ৯টার দিকে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালান মিয়ানমার সেনারা। এতে আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়ি আমরা, কারণ যেকোনো মুহুর্তে কিছু হতে পারে, সে আশঙ্কা করছি।
এছাড়া সকাল থেকে ১১ বার মাইকিং করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তারা জিরো লাইন থেকে রোহিঙ্গাদের সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৭ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
টিটি/টিএ