শুক্রবার (২ মার্চ) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবন সংলগ্ন ঐতিহাসিক বটতলায় পতাকা উত্তোলন দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা জানান।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ডাকসু নেতাদের সেদিন একটি বিপ্লবী উদ্যোগ নিতে বললেন, তখন ডাকসুসহ অন্য ছাত্রনেতারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করার সিদ্ধান্ত নিলেন।
এখানে ডাকসুর গুরুত্ব কতটুকু সেটি অনুভব করি। সেদিন ডাকসুর নেতারা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ডাকসু আবার সচল করা হবে। কারণ ডাকসু যেকোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছে।
পতাকা উত্তোলনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি বিপ্লবী উদ্যোগের পরিকল্পনা নেন। ২ মার্চ এখনকার শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক হলে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত পতাকা তৈরি করা হয়। সেটি ছিল একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতীক।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, আমাদের জাতীয় সঙ্গীত পাঠের সময় সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। যখন স্কুলে পড়তাম তখন জাতীয় সঙ্গীত কোথাও বাজতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে শ্রদ্ধা নিয়ে দাঁড়িয়ে যেতাম। কিন্তু আজকের দিনে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার সময়েও অনেকে হাঁটাহাঁটি করেন। এটি জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি অসম্মান।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখরের সঞ্চলানায় এতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন, বিজনেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার এনামউজ্জামান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনার পাশাপাশি সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত ও নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রামী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে কলাভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের মানচিত্রখচিত বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়, যা মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণার উৎস ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৮
এসকেবি/এএ