শুক্রবার (২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে এ পতাকা বৈঠকে বসছেন তারা। বৈঠকে মিয়ানমারের সেনা বৃদ্ধি, ফাঁকা গুলিবর্ষণ ও রোহিঙ্গাদের সরে যেতে মাইকিং করে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) ভোর থেকে সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকার প্রেক্ষিতে এ দেশের বিজিবি বার বার মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে বসার জন্য আহবান করছিল। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সেদেশের সীমান্তরক্ষীরা বিকেল ৩টায় বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছেন।
বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিজিবি ও সীমান্তে বসবাসকারী লোকজন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৭টি ট্রাকে করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা তুমব্রু সীমান্তের ওপারে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। সীমান্তের কাঁটাতার বেড়া বরাবর ব্যাংকারগুলোতেও অবস্থান নিয়েছে তারা। তাদের সঙ্গে বিজিপির সদস্যরাও পাহাড়া দিচ্ছে।
জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদ জানান, সকাল থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা মর্টারসহ অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। তাই সকাল থেকে ১১ বার মাইকিং করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। তারা জিরো লাইন থেকে রোহিঙ্গাদের সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দিচ্ছেন। এরপর বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার ভোর রাতে দু’দফা ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে বিজিপি।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, তুমব্রু সীমান্তে হঠাৎ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সৈন্য সংখ্যা বাড়ায়। অস্ত্র নিয়ে সীমান্তের কাঁটা তারের বেড়ার কাছে অবস্থান নেয় তারা। ভারী অস্ত্রের পাশাপাশি হালকা অস্ত্রও তাক করেছ দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
এ বিষয়ে মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, বিকেলের পতাকা বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৮
জিপি