তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আত্মার শান্তি পাই বলেই ছুটে আসি এখানে। যতদিন বাঁচবো এই সাঁইজির আঁখড়ায় বার বার ছুটে আসবো।
বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইজির আঁখড়াবাড়িতে চলছে তিন দিনব্যাপী লালন স্মরণোৎসব। এ উপলক্ষে কালী নদীর তীরে বসেছে গ্রামীন মেলা। আর সাধুদের চলছে সাধুসঙ্গ।
শুক্রবার (০২ মার্চ) দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে এ উৎসব। সাধু-গুরুদের উপস্থিতিতে সাঁইজির আঁখড়াবাড়ি পরিণত হয়েছে গুরু-শিষ্যের মিলনমেলায়। উৎসবে যোগ দিতে দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছেন সাধু-গুরু, বাউল, ভক্তরা। ভক্ত, আশেকান আর দর্শনার্থীদের পদচারণায় মাজার প্রাঙ্গণ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়েছে।
আশ্রমে আসা সাধু ফকির হায়দার আলী বাংলানিউজকে জানান, সাঁইজির দেখানো পথই আমাদের একমাত্র কাম্য। তিনি মানুষে-মানুষে ভেদাভেদ ভুলে মানব প্রেম জাগ্রত করার কথা বলে গেছেন। তার দেখানো পথে চললে আমাদের সমাজ হবে শান্তিময়। আমি প্রতি বছর এখানে আসি। এখানে এলে বিভিন্ন এলাকার সাধুদের সঙ্গে কথা হয়। ভজন-সাধন এবং কীভাবে আমরা সঠিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবো তা সম্পর্কে জানা যায়।
এদিকে ছুটির দিন হওয়ায় সাধুদের পাশাপাশি লালন আঁখড়াবাড়িতে ভিড় করছেন দর্শনাথীরা।
দর্শনার্থী আবু হেনা মোস্তফা কামাল পেশায় একজন শিক্ষক। তিনি তার পরিবার নিয়ে এসেছেন লালন স্মরণোৎসবে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, লালন মেলায় ঘুরতে এলে আমাদের অনেক ভালো লাগে তাই পরিবার নিয়ে চলে এসেছি। এছাড়া বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্যই পরিবার নিয়ে এখানে আসা।
লালন একাডেমির খাদেম মোহাম্মদ আলী বাংলানিউজকে জানান, সাঁইজির স্মরণোৎসব উপলক্ষে তার সাধন-ভজনের তীর্থস্থান ছেঁউড়িয়ার আঁখড়াবাড়ি প্রাঙ্গণ পরিণত হয়েছে উৎসবের পল্লীতে। দেশ-বিদেশ থেকে লালনভক্ত, বাউল অনুসারী ও সুধীজনসহ অসংখ্য মানুষের এখানে আগমন ঘটেছে। এখানে আসতে সাধুদের দাওয়াতের প্রয়োজন হয় না। তারা আপনা আপনি মনের টানে এখানে ছুটে আসেন। আর তাই লাখো ভক্ত, আশেকান আর সাধুদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে লালন আঁখড়াবাড়ি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৮
আরএ