তিনি বলেন, আমি দুর্বল, নিরীহ একজন মানুষ। বর্তমান সরকারের যে ক’জন মন্ত্রী রয়েছেন, তাদের মধ্যে আমি বুড়া মন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক হারুন বলেন, ১০ লাখ জনতার সামনে ৭ই মার্চ ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ কোনো রাজনৈতিক ভাষণ নয়, দেশের নিপীড়িত মানুষের মনের স্বাধীনতার সংগ্রামের ভাষণ, মুক্তির সংগ্রামের ভাষণ। জাতি ও রাষ্ট্র গঠনের ভাষণ।
তার কথার সূত্র ধরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে খাতিরের কারণে ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভূক্ত করেনি বা স্বীকৃতি দেয়নি। ইউনেস্কোর বিএনসিইউ’র বাংলাদেশের প্রধান হিসেবে থেকে আমি ৯ বছর এর পেছনে কাজ প্রমাণ করতে পেরেছি। তাদের সঙ্গে চা-পান খেতে খেতে কথা বলেছি। তাতে তারা সন্তুষ্ট হয়েছেন।
তিনি বলেন, এটি যে কেবল একটি বক্তৃতাই নয়, এই ভাষণে বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসের সমস্ত সমস্যা-সংকট, সুখ-দু:খ কষ্ট যা মানুষ ধারণ করা হয়েছে। ১৭ মিনিটের এই ভাষণটি একটি দলিল। যাতে সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার সংগ্রামের ডাক দেওয়া হয়েছে। ডাক দেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিক মুক্তির। এই ডাকে সাত কোটি মানুষ সাড়া দিয়েছে। ৯ মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। যা ছিলো সম্পূর্ণ অলিখিত বক্তৃতায় এটি বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, এই ভাষণটিকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির জন্য ২০০৯ সালের ১২ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ২৩ মার্চ আমি এই প্রস্তাবে স্বাক্ষর করি। আর এই প্রস্তাবে ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন। এরপর দীর্ঘ ৯ বছর যাচাই-বাছাইয়ের পর ২০১৭ সালে প্যারিসের অধিবেশনে ঘোষণা দেওয়া হয়।
এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাফল্য। আর কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধুর। সেই সময়ের মানুষের পাশাপাশি কৃতিত্ব বর্তমান সরকারের। কিন্তু সম্প্রতি অনেক লোক তাদের কারণে ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি দিয়েছে বলে দাবি করেন। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ