বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই শিশু ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুর চাচা জানান, ৫ বছর আগে ওই শিশু ছাত্রীর বাবা মারা যায়।
তিনি আরও জানান, গত ১ মার্চ প্রতিদিনের মতো শিশু ছাত্রী কদমতলী এলাকায় অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া দারুল এহসান মাদ্রাসায় যায়।
দুপুর ১২টার দিকে ওই মাদ্রসার প্রিন্সিপাল মুফতি আলাউদ্দিন ৩য় তলায় তার রুমে নিয়ে শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের পরে ধর্ষক শিক্ষক শিশু ছাত্রীকে বলে, তুমি যদি ধর্ষণের কথা কাউকে বলো- তাহলে তুমি পাগল হয়ে যাবে।
এক পর্যায় শিশু ছাত্রী কদমতলী এলাকায় বাসায় চলে আসে। এর পর থেকে তাকে মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে সে কান্নাকাটি করতো, কিছু বলতো না। ৬ মার্চ তার দাদির চাপাচাপিতে এক পর্যায় শিশুটি তার দাদির কাছে সব কিছু খুলে বলে। এ ঘটনা এলাকায় জানাজানি হলে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি আলাউদ্দিনকে এলাকাবাসী আটক করে থানায় সোপর্দ করে।
কদমতলীর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বাংলানিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশু ছাত্রীর পরিবার থেকে একটি মামলা করা হয়- মামলা নং ২৩। সকালে আসামী মুফতি আলাউদ্দিনকে আদালতে পাঠানো হবে ও তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮
এডেএস/এমএইউ/