১৪ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শুক্রবার (৯ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’র ৬ নম্বর বেডে মারা যান তিনি।
আসাদুল্লাহর ভাই মো. হাসান মিয়া দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, কিছুক্ষণ পরেই মরদেহ নিয়ে পাথরঘাটার উদ্দেশে রওনা হবেন তারা।
এর আগে শুক্রবার (২৩ ফেরুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শত্রুতার জের ধরে পৌর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মো. সোহাগ মিয়া ওরফে আতুর সোহাগ ও তার সহযোগী রুবেল কুটিয়ালসহ কয়েকজন প্রকাশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে আসাদুল্লাহকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তার ফুসফুস, কিডনি ও হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় তারা আসাদুল্লাহর ডান পায়ের রগও কেটে দেয়।
ঘটনার পর থেকে সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগসহ তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। ঘটনার দিন রাতেই আহত আসাদুল্লাহর বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। সোহাগের সহযোগী রুবেলের বাবা ওই মামলার ৩ নম্বর আসামি মো. জাহাঙ্গীর খানকে গ্রেফতার করলেও বাকীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহম্মেদ বলেন, ঘটনার পরই সন্ত্রাসী আতুর সোহাগের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রামদাসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হলেও সোহাগকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮
আরএ