শুক্রবার (০৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় উৎসবের উদ্বোধন করেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন-কবি নির্মলেন্দু গুণ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক ও আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারোয়ার।
বিকেলে তুলিকা, অঙ্কন শিক্ষালয় ও সংস্কৃতি কেন্দ্রের শিশুদের জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় উৎসব। এরপর উপস্থিত অতিথিরা মশাল জ্বেলে উৎসবের উদ্বোধন করেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও উৎসবের অন্যতম প্রধান পর্ব ছিলো সম্মাননা প্রদান। এবারে বাকশিল্পাঙ্গণ বিনম্র চিত্তে সম্মান জানায় ডা. বসন্ত কুমার রায়কে।
তিনি ১৯৭১ সালে জলপাইগুড়ির বলরাম শরণার্থী শিবিরে গড়ে তুলেন অস্থায়ী হাসপাতাল। বাকশিল্পাঙ্গণের পক্ষ থেকে তাকে ক্রেস্ট প্রদান করেন রামেন্দু মজুমদার।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, যুদ্ধ একটি জাতির জীবনকে ছিন্ন ভিন্ন করে দেয়। ব্যাক্তি পরিবার ও সমাজ জীবনে মানুষ হারায় তার প্রিয় মানুষকে, হারায় তার বাস্তুভিটাকে। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে সে অর্জন করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। জাতীয় চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার অভিষ্ট লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যায়। ভালোবাসে মাটি, মানুষ, জল ও বায়ুকে।
তারা বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ আর শেকল ভাঙার প্রত্যয়ে স্বাধীন দেশের জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এদেশের সকল মানুষ। অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল এদেশের কৃষক, জেলে, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, শিল্পীসহ সকল পেশার জনগন। গুটিকয় মানুষ ছাড়া এই যুদ্ধ জয়ের পদ্যে শামিল হয়েছে সকল বাঙালি।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ছিল দলীয় এবং একক আবৃত্তি পরিবেশনা। এতে অংশগ্রহণ করেন সুবিদিতা চন্দ সোনালী, হাসিব বিল্লাহ, মনোয়ার মাহমুদ জুয়েল, নুৎফা বিনতে রব্বানী নিরু, ডলি দাস, আহমেদ ইসা, সানজিদা লুনা, মো. হাসিব মামুন তুষার, আসাদুল্লাহ আল গালিব, বুশরা আহমেদ, আসিফ রহমান সৈকত সহ বিভিন্ন আবৃত্তি শিল্পী।
রোববার (১০ মার্চ) দ্বিতীয়দিনের অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে পাঁচটায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৮
এইচএমএস/এমএ