গত দু’মাসে বহুচেষ্টার পর জেলা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির সহায়তায় প্রশাসন ২৯টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছে।
তবে, সেসময় বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হলেও কোনো না কোনোভাবে ১৫ বা ১ মাস পরেই আবার লুকিয়ে তাদের বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে।
জেলা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাকিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সাধ্যমত চেষ্টার পরও কোনোক্রমেই বাল্যবিয়ে থামানো যাচ্ছে না। গত দুই মাসে ২৯টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১৫টি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪টি।
তিনি আরো জানান, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ অত্যন্ত কঠিন একটি কাজ। অনেক সময় সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুকূলে থাকে না। তারপর আবার যানবাহন ও কোনো ফান্ড না থাকা, নির্দিষ্ট কোনো কার্যালয় না থাকা, প্রশাসনিক সাহায্য পেতে দীর্ঘসূত্রিতা, রাত-বেরাতে নিরাপত্তার সমস্যাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির নির্বাহী প্রধান ও জেলা পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি বাংলানিউজকে বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নানাভাবে চেষ্টা করলেও দেখা যায় আমরা বন্ধ করছি, পরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে।
এছাড়া এক শ্রেণির অসাধু আইনজীবী, আইনজীবীর সহকারী ও বিবাহ রেজিস্ট্রার টাকার বিনিময়ে বয়স বাড়িয়ে বাল্যবিয়ে তরান্বিত করছেন। এ ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, বাল্যবিয়ের ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। জেলা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ মনিটরিং কমিটি এটা সার্বক্ষণিক দেখা শোনা করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
আরএ