শনিবার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে চাকরি স্থায়ীকরণ, কর্মকর্তাদের অমানবিক নির্যাতন থেকে মুক্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন গ্রামীণ ব্যাংকের সারাদেশ থেকে আসা কয়েকশ’ কর্মচারী।
‘আমরা যদি এই রাষ্ট্রের জনগণ তবে, রাষ্ট্রের আইন কেন দেয় না মোদের সমর্থন?’, ‘আমাদের কোনো ছুটি দেওয়া হয় না, ছুটিতে গেলে বেতন কর্তন করা হয়’, ‘এই অনিয়ম বন্ধ করুন, আমাদের চাকরি স্থায়ীকরুন’সহ নির্যাতনের আরও অনেক ফেস্টুন অবস্থানকারীদের বুকে ধরে রাখতে দেখা গেছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া রফিকুল ইসলাম নামের এক কর্মচারী বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে গ্রামীণ ব্যাংকে পিয়ন কাম গার্ড হিসেবে কাজ করছি। নিয়োগ বিধিতে চাকরি করার ৯ মাস পর স্থায়ীকরণের কথা থাকলেও আমাদের ক্ষেত্রে এ বিধান মানা হচ্ছে না’।
‘উপরন্তু আমাদের গ্রামীণ ব্যাংক কর্মকর্তাদের দ্বারা ক্রমাগত হয়রানি, কারণ ছাড়াই কাজে যোগদানে বাধা প্রধান, বিনা বিশ্রামে ২৪ ঘণ্টা ডিউটিসহ বিভিন্ন ধরনের অমানবিক নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে’।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত বাজার, কাপড় ধোঁয়া, ছেলেমেয়েদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজও আমাদের দিয়ে করাচ্ছেন। আমরা এ ধরনের অত্যাচার থেকে মুক্তি ও নিয়োগ বিধি অনুযায়ী চাকরি স্থায়ীকরণ চাই।
গ্রামীণ ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের সভাপতি আজিজুল হক বাবুল বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণ, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী বেতন ভাতা, গ্রামীণ ব্যাংকের নিয়মানুযায়ী বেতন, ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশন দিতে হবে। না হলে আমাদের আন্দোলন চলবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন। তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক কর্মচারীদের কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করে তাদের মজুরি ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। চাকরী স্থায়ীকরণ করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হন জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি আবুল ওয়াহেদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক নাইমুল হাসান জুয়েল, গ্রামীণ ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের সহ-সভাপতি নয়ন, সাধারণ সম্পাদক মিন্টু, ইরাদুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৮
এসই/জেডএস