রোববার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর এটিভি’র বনানীস্থ কার্যালয়ে চ্যানেলটির উদ্বোধনী করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সংবাদ ও বিনোদন দুই মাধ্যমেই সম্প্রচার করবে চ্যানেলটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- এটিভির চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাস ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের প্রচার ও প্রসারে বিশ্বাস করে বলেই দিনে তিন হাজার পত্র-পত্রিকা প্রকাশ হচ্ছে। নতুন অনেক টেলিভিশনকেও লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম উভয় এখন জঙ্গি-সন্ত্রাসী, সাইবার অপরাধী এবং তথ্যের মিথ্যাচার দ্বারা আক্রান্ত। এসবের ধাক্কায় আমাদের গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম আজ বিপদগ্রস্ত। সুতরাং আপনাদেরকে এ আক্রমণ প্রতিহত করতে হবে।
আনন্দ টিভিকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আজ থেকে গণমাধ্যম জগতের নতুন সদস্য। আশা করি, আপনারা সচেতন থাকবে এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরবেন।
এটিভি কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশের প্রত্যেক প্রান্তের খবর তুলে আনতে আনন্দ টিভির এক ঝাঁক তরুণ কর্মী কাজ করছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন প্রজন্মকে সুস্থধারার বিনোদনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে বাঙালির হাজার বছরের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা আনন্দ টিভির লক্ষ্য বলে জানান তারা।
এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি থেকে আনন্দ টিভির পরীক্ষামূলক সম্প্রচার শুরু হয়। এরপর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক সম্প্রচারে যাওয়ার অনুমতি লাভ করে চ্যানেলটি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, মার্চ১১, ২০১৮
এমএফআই/এনটি