শুক্রবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন প্লেন দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদকে দেখতে আসেন সেতুমন্ত্রী। পরে তিনি শাহরিনের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি (শাহরিন) এতো কিছু মধ্যেও টিকে আছেন। এটি একটি বিশাল ব্যাপার। তিনি সাহসী এবং সচেতন একজন মানুষ। তিনি দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। হাসপাতাল থেকে বের হয়ে সেতুমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আজেই আহতদের মধ্যে তিনজনকে দেশে আনা হচ্ছে। বাকিদেরও আনা হবে। নিহতদের মরদেহগুলো দেশে আনার কাজে ডিএনএ টেস্ট করতে সমস্যা পোহাতে হচ্ছিল, কারণ তাদের লোকবল কম। পরে আমাদের মেডিকেল টিম নেপালে যাওয়ায় কাজের গতি বেড়েছে। দ্রুত মরদেহগুলো দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরে সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে চলে এসেছেন এবং বিষয়টি নিয়ে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমি শোকসন্তপ্ত ও আহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি।
এ সময় তিনি বলেন, স্বজনরাও আমাদের বলেছেন যারা মারা গেছেন তারা তো আর ফিরে আসবেনা, তাই তাদের মরদেহগুলো দেশে এনে দাফনের ব্যবস্থা করা ও আমরা দ্রুত মরদেহ ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ ) বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি০০৭২ ফ্লাইটটি। এ ফ্লাইটই শাহরিনকে ঢাকায় আনা হয়। পরে বিমানবন্দর আগে থেকে অপেক্ষমান অ্যাম্বুলেন্সটি বিকেল ৫টার দিকে তাকে নিয়ে ঢামেকে পৌঁছায়। তাকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়ে যায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস২১১ ফ্লাইট। প্লেনের ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন ২৬ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৮/আপডেট: ১২২৩
এমএসি/এএটি