এদিন সন্ধ্যায় শিশু শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আয়োজন। এতে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রশিক্ষণার্থী এবং একাডেমি পরিচালিত আজিমপুর শিশু বিকাশ কেন্দ্রের শিশু শিল্পীরা।
বিকেল সাড়ে চারটায় বইমেলা-চত্বরের মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের শিশুদের জন্য অনুকরণীয় এক দিকপাল। শিশু একাডেমির এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিশুরা যেমন বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারবে, তেমনি বইমেলার বই থেকে জ্ঞান আহরণ করে হতে পারবে জ্ঞানী।
আয়োজনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- শিশুসাহিত্যিক সুজন বড়ুয়া। এসময় শিশুবক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিশু একাডেমির নাট্যকলা বিভাগের প্রশিক্ষণার্থী ও রাজধানীর নাবিল আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহান সাদিক সামি।
এর আগে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে একাডেমির কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ পুষ্পার্ঘ অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু করেন। বাদ আসর একাডেমির মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বইমেলা ২০১৮ শুরু হয়। মোট ৭৫টি প্রকাশনা সংস্থার অংশগ্রহণে মেলার দ্বিতীয় দিনও বইপ্রিয় শিশু ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতে একাডেমির মেলা প্রাঙ্গণ পরিণত হয় সৃজন-উৎসবে।
রোববার (১৮ মার্চ) অনুষ্ঠানমালার তৃতীয় দিন। এদিন বিকেল ৪টায় মেলামঞ্চে নির্ধারিত আলোচনা সভা এবং সন্ধ্যায় শিশুদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৬ ঘণ্টা; মার্চ ১৮, ২০১৮
এইচএমএস/আরএ