রোববার (১৮ মার্চ) সকালে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে এ মামলায় ৪৬জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন ।
গত বছরের ৩ জুলাই মাজারের খাদেম রহমত আলী হত্যা মামলায় ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। এদের মধ্যে জঙ্গি বাইক হাসান ও সাদ্দাম হোসেন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।
বাকি ১১ জনের মধ্যে ৯জনকে গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে আছেন। তারা হলেন- মাসুদ রানা, এছাহাক আলী, লিটন মিয়া, আবু সাঈদ, সাখাওয়াত হোসেন, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব, সাদাত ওরফে রতন সরোয়ার, হোসেন ওরফে সাবু ও তৌফিকুল ইসলাম।
আসামিদের মধ্যে পলাতক রয়েছেন- রংপুরের পীরগাছার চান্দু মিয়া (২০), বগুড়ার শাহজাহানপুর এলাকার রাজীবুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাদল ওরফে বাঁধন (২৫) ও দিনাজপুরের বিরামপুর এলাকার বাবুল আখতার ওরফে বাবুল মাস্টার (৩৫)।
২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ের মাজার শরিফের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) গলা কেটে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্যরা।
তিনি টেপামধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং চৈতার বাজারে তার একটি ওষুধের দোকানও রয়েছে। ওইদিন রাত ১১টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে চৈতার মোড়ে জেএমবি সদস্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও জবাই করে তাকে হত্যা করে।
নিহত রহমত আলী সুরেশ্বর পীরের অনুসারী ও মাজারের খাদেম ছিলেন। তার বাড়িতেই দরবার শরিফ ছিল। এ ঘটনায় ওইদিনই নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় মামলা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
এমএ/