রোববার (১৮ মার্চ) আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য দেন তিনি।
আদালতে জবানবন্দিতে ফয়জুল জানান, প্রবাসে থাকা তার চাচা তাকে এ পথে আসতে অনুপ্রাণিত করেন।
আদালতের জবানবন্দির বরাত দিয়ে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান। তবে ফয়জুলকে মেমোরি কার্ড দেওয়া জনৈক ব্যক্তির নাম তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করেননি তিনি।
তিনি বলেন, প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ফয়জুল। কি উদ্দেশ্যে, কেন ড. জাফর ইকবালকে হত্যা করতে চেয়েছে- এর সব কিছুই জবানবন্দিতে বলেছেন।
মূলত বিভিন্ন ওয়াজ-মাহফিল শুনে এবং মেমোরি কার্ডে থাকা ওয়াজ, বয়ান, তথ্যচিত্র থেকে অনুপ্রাণিত হন। তবে ফয়জুল আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
জবানবন্দিদে ভূতের বাচ্চা সোলাইমান পড়ে ড. জাফর ইকবালের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলার কথাও স্বীকার করেন ফয়জুল। তবে এই হত্যাচেষ্টায় আরো লোক জড়িত থাকার কথাও বলেছেন তিনি।
অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, এটা নিশ্চিত যে, হত্যার উদ্দেশ্যেই জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী হয়ে ড. জাফর ইকবালের উপর হামলা করেছিলেন ফয়জুল। অবশ্য তিনি বড় কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
ফয়জুলের জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশের আরেক কর্মকর্তা বলেন, ফটোস্ট্যাট ও কম্পিউটারের দোকানে চাকরিকালে এক লোক জঙ্গিবাদ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যাদি লোড করে দেওয়া মেমোরি কার্ড দেখেই ‘মগজ ধোলাই’ হয় ফয়জুলের। যে কারণে শাবিপ্রবি’র কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান কথাসাহিত্যিক ড. জাফর ইকবালকে হত্যা চেষ্টা করেন।
এরআগে রোববার (১৮ মার্চ) দুপুর দেড়টায় ফয়জুলকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার (ওসি) শফিকুল ইসলাম। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিলেট মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক হরিদাস কুমার।
গত ৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল। তার মাথায় ও হাতে ছুরিকাঘাত করেন ফয়জুল। হামলার পরপরই ফয়জুলকে আটক করে গণপিটুনি দেন শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হন ওই হামলাকারী।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৮
এনইউ/এএ