সোমবার (১৯ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসে নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
দূতাবাস থেকে ত্রিভুবনে নিয়ে সেখান থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্লেনে এ ২৩ জনের মরদেহ ঢাকায় নেওয়া হবে। তার আগে ইউএস-বাংলার একটি এয়ারক্র্যাফটে করে তাদের স্বজনদের দেশে পৌঁছানো হবে।
ঢাকায় পৌঁছানোর পর অার্মি স্টেডিয়ামে এই ২৩ জনের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা হবে। এরপর তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত ১২ মার্চ ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এতে নিহত হন ৪৯ জন। যাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। ময়না-তদন্ত সাপেক্ষে এদের মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট তিন মরদেহ শনাক্ত করারও প্রক্রিয়া চলছে।
যে ২৩ জনের মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে, তারা হলেন- উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার ও শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন ও এফ এইচ প্রিয়ক, -বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
যে তিন বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি, তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান। তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।
দূতাবাসে ২৩ জনের জানাজার আগে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মাশফি বিনতে শামস জানান, এয়ারক্রাফট যতদ্রুত পৌঁছাবে তত দ্রুতই মরদেহ ঢাকায় পৌঁছানো হবে। আশা করি দুপুর ২টা নাগাদ মরদেহ ঢাকায় পৌঁছাবে। অবশিষ্ট তিন মরদেহ শনাক্ত হওয়া সাপেক্ষে শিগগিরই দেশে পাঠানো হবে।
মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় আহত হন ১০ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ডা. রেজওয়ানুল হক শাওন ও ইমরানা কবির হাসি নামে দু’জনকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকায় আনা হয়েছে শাহীন ব্যাপারি, মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী কামরুন নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার অ্যানি, শেহরিন ও শেখ রাশেদ রুবায়েতকে। বাকি দু’জনের মধ্যে ইয়াকুব আলীকে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। কবির হোসেন নামে অপর যাত্রীকে আনা হবে সোমবার।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৮
ইইউডি/এইচএ/
** দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবে মরদেহ