মঙ্গলবার (২০ মার্চ) সকাল ১০টায় সোনাগাজী উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের আউরারখিল গ্রামে মরহুমের নিজ বাড়িতে (রশীদ ডাক্তার বাড়ির) তার চতুর্থ নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এসময় সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জেডএম কামরুল আনাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুর রহমান, সোনাগাজী পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন, বগাদানা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইসহাক খোকনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার বিকেল ৪টা ৫মিনিটে পলাশসহ ২৩টি মরদেহ নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ কার্গো বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে ওই ২৩ মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে নিহতদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পলাশের মরদেহ বুঝে নেন বড় ভাই মোকছেদুর রহমান।
পরে পলাশের মরদেহ তার কর্মস্থল রানা মোবাইলস লিমিটেডে নেওয়া হলে সেখানে তার তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরআগে নেপালের কাঠমান্ডুতে নিহতদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
নিহত পলাশ ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল বিষয়ে ডিপ্লোমা পাস করে ঢাকায় একটি অটো মোবাইলস কোম্পানিতে কর্মরত ছিলো। কোম্পানির প্রশিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তার নেপাল যাওয়া। পলাশ আউরারখিল গ্রামের আমিন উল্যাহ মিয়ার ছোট ছেলে।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন ইউএস-বাংলার একটি প্লেন দুর্ঘটনায় ৭১ আরোহীর মধ্যে চার ক্রুসহ ৪৯জন মারা যান। তাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। ২৩ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে।
** ফ্লাইট বিএস২১১: পলাশের মরদেহ বাড়িতে
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এসএইচডি/ওএইচ/