মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বিকেলে যশোর রোড উন্নয়ন ও গাছ রক্ষা সমন্বয় কমিটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুল আওয়ালের হাতে এ স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, যশোরবাসীসহ সারাদেশে জনগণের প্রতিবাদে সরকার গাছ রক্ষা করে সড়ক উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বেনাপোল হলো দেশের প্রধান স্থলবন্দর। সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার টন মালামাল আমদানি-রফতানি হয়। বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন আট থেকে নয় হাজার মানুষ ভারতে এবং যশোর ও সাতক্ষীরার হাজার হাজার মানুষ এ পথে যাতায়াত করেন। সে বিবেচনায় সড়ক ও রেল যোগাযোগকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে যশোরের সিঙ্গিয়া ষ্টেশনে রেলওয়ে কন্টিনার পোর্ট চালু ও জনসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্নে করার জন্য বেনাপোল-ঢাকা সকাল-সন্ধ্যা দু’টি আন্তঃনগর ট্রেন চালু করা জরুরি। একই সঙ্গে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের উভয়পাশে ৪০ থেকে ৬০ ফুট সরকারি জমি উদ্ধার করে বিদ্যমান মহাসড়কের উভয়পাশের লেন বৃদ্ধি করা সম্ভব। এতে একদিকে যেমন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত দেড় শতাধিক বছরের পুরাতন গাছগুলো রক্ষা পাবে, তেমনি অতি গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটির উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ হবে। এক্ষেত্রে রেল, সড়ক, জলপথ ও বিমান সামগ্রিক পরিকল্পনার আওতায় এনেই জেলার উন্নয়ন করতে হবে।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন- যশোর রোড উন্নয়ন ও গাছ রক্ষা সমন্বয় কমিটি আহ্বায়ক খন্দকার আজিজুল হক মনি, সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান ভিটু, উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, অনিল বিশ্বাস, অ্যাডভোকেট মাহাবুব আলম বাচ্চু, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী স্বপন, জাকির হোসেন হবি, নাজিম উদ্দিন, হারুন-অর-রশীদ, ডিএম শাহিদুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মাহমুদ হাসান বুলু, সানোয়ার আলম খান দুলু, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান সাবু, জোগেশ চন্দ্র দত্ত, তরিকুল ইসলাম তারু, নওরোজ আলম খান চপল, প্রণব দাস, কামাল হোসেন পলাশ, সুজন দত্ত লাল্টু, শ্যামল শর্মা, সুব্রত কুমার বিশ্বাস, শাহাবুদ্দিন আলম, অনুপ কুমার পিন্টু, সিরাজুল কাশেম, অরূপ কুমার মিত্র প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
ইউজি/এসআরএস