মঙ্গলবার (২০ মার্চ) ডিএসসিসির অঞ্চল-৪ এর কাজী আলাউদ্দিন রোডের ড্রেনে গাপ্পি মাছ অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন মেয়র। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সোমবার (১৯ মার্চ) এডিশ মশা নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ঘোষণা দেন মেয়র।
একদিন পর মেয়র জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে এ অভিযান পরিচালনা করবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে 'স্বচ্ছ ঢাকা' কর্মসূচির অংশ হিসেবেই ড্রেনে ১০ হাজার গাপ্পি মাছ অবমুক্ত করা হয়। প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ প্রথম ড্রেনে গাপ্পি মাছ অবমুক্ত করেছিলেন। সেই থেকে বেশ কিছু বছর মশার উপদ্রব কম ছিলো বলে সোমবার বিশেষজ্ঞ মতামতে উঠে আসে।
গাপ্পি মাছ সাধারণত ডোবা, পুকুর, নালা, ড্রেনের মধ্যে থাকে। এরা কিউলেক্স মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। প্রাকৃতিকভাবে মশা মারার উত্তম উপায় গাপ্পি মাছ।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ১০ হাজার গাপ্পি মাছ ডিএসসিসির অঞ্চল-৪ এর নালা-নর্দমা-ড্রেনে উন্মুক্ত করে ফলাফল দেখা হবে। যদি ইতিবাচক ফলাফল দেখি তাহলে সব অঞ্চলে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। তবে এ প্রকল্প শুধু কিউলেক্স মশার জন্য, এডিস মশার জন্য নয়।
ডিএসসিসির অধিকাংশ ড্রেন শুকিয়ে গেছে। কিভাবে গাপ্পি মাছ বাঁচবে এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, গত বছরে নভেম্বর থেকে ড্রেন পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে, যা শেষ হবে এপ্রিলে। এদিকে আমাদের নজর থাকবে।
মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে নগরবাসীকে নিরাপদ রাখার জন্য এডিস মশার উৎপত্তিস্থলে অভিযান চালানো হবে।
মেয়র জানান, এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতে জন্ম নেয়। মূলত বাসা-বাড়ির বদ্ধ স্বচ্ছ পানিতে এ মশা বংশবিস্তার করে। এজন্য বাসা-বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এ অভিযানকে নেতিবাচকভাবে না দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র সাঈদ খোকন।
এ সময় সব মালিকদের বাসা-বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য অনুরোধ জানান মেয়র। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে যদি এডিস মশার আবাসস্থল দেখা যায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান মেয়র।
গাপ্পি মাছ অবমুক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালসহ অন্য কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এসএম/জেডএস