মঙ্গলবার (২০ মার্চ) বিকেলে স্থানীয় সাংবাদিক তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মাদ্রাসাপাড়ার রবিউল আওয়াল মিন্টুর স্ত্রী।
নির্যাতিত রেহেনা খাতুনের মেয়ে হাড়াভাঙ্গা মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম নেছা বাংলানিউজকে বলে, দুইদিন ধরে মাকে দফায় দফায় মারধর করছে বাবা। আমি সকালে মাদ্রাসায় চলে যায়। পরে খবর পাই মাকে ঘরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি বাড়ি এসে মাকে নিয়ে হাসপাতালে আসার সময় বাস থেকে নেমে মা জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়।
তার মায়ের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলেই কান্নায় ভেঙে পড়ে সে।
আহত রেহেনা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, দু’দিন ধরে আমাকে মারধর করছে। দুপুরে আমি মোবাইল ফোনে জানতে চেয়েছি বাড়ি আসবে কিনা। শুনেই সে বাড়িতে এসে আমাকে ঘরের মধ্যে নিয়ে মারধর করে। আমার গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে। আমি মারা গেছি ভেবে সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীকে দিয়ে মেয়েকে ডেকে এনে হাসপাতালে আসার পথে রাস্তায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এম কে খোকন রেজা বাংলানিউজকে জানান, রেহেনার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের দাগ রয়েছে। তার ডান চোখেও মারাত্বক আঘাত রয়েছে। এছাড়া গলা টিপে ধরায় সেখানেও ক্ষত হয়েছে। তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্রনাথ সরকার বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
আরএ