মঙ্গলবার (২০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে মিরকাদিম হাজী আমজাদ আলী ডিগ্রি কলেজের শরীরচর্চার শিক্ষক মোক্তার হোসেন ঢালী ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলার অপর আসামি ছাত্রলীগ কর্মী ও সরকারি হরগঙ্গা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র কাওছার মাহমুদ আলিফ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১৮ মার্চ) অনার্স ৩য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালে মোক্তার হোসেন ঢালী মুন্সীগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের কক্ষ নম্বর ২-এর কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি নকল করে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। শিক্ষক মোক্তার হোসেন ঢালী রাব্বিকে নকলে বিরত থাকতে বলেন। ওইদিন বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পরীক্ষার হলেই শিক্ষক মোক্তার হোসেনকে রাব্বি হুমকি দেয়। পরীক্ষা শেষে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একই কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. আব্দুল খালেককে নিয়ে মোক্তার হোসেন বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় কোর্টগাঁওস্থ এভিজেএম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে রাব্বি ও তার সহযোগী সরকারি হরগঙ্গা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আলিফসহ কয়েকজন মিলে গালিগালাজ শেষে মারধর করে মোক্তার হোসেনের পরনের শার্ট ছিঁড়ে ফেলে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, অভিযোগ পেয়ে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বিস্তারিত খতিয়ে দেখছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা বাংলানিউজকে জানান, হরগঙ্গা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাব্বি কাজটি ঠিক করেনি। যদি তার বিরুদ্ধে তদন্তে প্রমাণ মিলে তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০১ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
আরআর