একইসময় রুম থেকে অচেতন অবস্থায় হোটেলের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী জাহিদুলের স্ত্রী টিনাকে (২৫) উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত ১১টার দিকে পর্যটনকেন্দ্রে কুয়াকাটায় অবস্থিত আবাসিক হোটেল পায়রার ৩০১ নম্বর কক্ষের দরজা ভেঙে জাহিদুল ও টিনাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, ১৮ মার্চ (রোববার) জাহিদুল ও টিনা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আবাসিক হোটেল পায়রার ৩০১ নম্বর কক্ষে ওঠেন। মঙ্গলবার দিনভর তাদের কোনো সারাশব্দ না পাওয়ায় রাতে পুলিশকে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। কুয়াকাটার ট্যুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশ মঙ্গলবার হোটেলের কক্ষের দরজা ভেঙে তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে হাসপাতালে জাহিদুলের মৃত্যু হয়। টিনা নামে ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসকদের ধারণা, অতিমাত্রায় তারা ঘুমের ওষুধ সেবন করায় এ ঘটনার সৃষ্টি।
এদিকে পুলিশ মৃত জাহিদুলের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারে তার ডাক নাম বন্ধন ও তিনি খুলনার বিএল কলেজের ছাত্র। খুলনার পথ মাদক নিরাময়কেন্দ্রে চাকরি করছিলেন তিনি। তবে মেয়েটির পরিচয় সম্পর্কে এখনো কিছুই জানতে পারেনি পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, হোটেলের ওই কক্ষ থেকে কিছু ট্যাবলেটের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। জাহিদুল ওরফে বন্ধনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
যুবকের মরদেহ সকালে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আর অচেতন নারীকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই নারী সুস্থ হলে ঘটনার মূলরহস্য জানা যাবে বলে জানান ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এমএস/এএটি