শুক্রবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রাম থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত সুমি নারান্দী এলাকার শরীফ মিয়ার স্ত্রী এবং কাহিন্দী গ্রামের ইদ্রিস আলী ফকিরের মেয়ে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিন বছর আগে নারান্দী গ্রামের মৃত আম্বর আলী ছেলে শরীফের সঙ্গে সুমির বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুমির সঙ্গে স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজনের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। স্বামী শরীফ তাকে বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো। এরমধ্যে তাদের একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। তারপরও তাদের কলহ থামেনি।
শুক্রবার সকালে ঘরের আড়ার সঙ্গে সুমির মরদেহ ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ হক বাংলানিউজকে বলেন, এটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিষয়টি জানা যাবে। এ ব্যপারে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে ঘটনার পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে বলেও জানান পুলিশে এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
জিপি