ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

স্নানোৎসবে প্রস্তুত লাঙ্গলবন্দ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
স্নানোৎসবে প্রস্তুত লাঙ্গলবন্দ পূণ্যার্থীদের সতর্ক করা হয়েছে-ছবি-বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমী স্নানের জন্য অপেক্ষায় আছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সহ বিভিন্ন ধর্মীয় সংস্থা এ উৎসবে নানাভাবে সহায়তা করছে।

শনিবার (২৪ মার্চ) সকালে উৎসব শুরু হয়ে চলবে রোববার (২৫ মার্চ) সকাল ৮টা পর্যন্ত। দেশ-বিদেশের ভক্তদের স্নানোৎসব শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে পালন করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন বলে জানিয়েছেন হিন্দু নেতারা।

শুক্রবার (২৩ মার্চ) সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্দরের লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদের স্নানের স্থানের বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নিরাপত্তা সংস্থার পক্ষ থেকেই নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।  

তবে স্নানের পর নারী পূণ্যার্থীদের পোশাক বদলের কোনো সুব্যবস্থা করা হয়নি। ঘাটগুলোর পাশে কয়েকটি ছোট কক্ষ থাকলেও চাহিদার তুলনায় তা অনেক কম। স্নান উপলক্ষে ৩৩টি ধর্মীয় স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সেবামূলক সংগঠন পূণ্যার্থীদের সেবা দিতে ক্যাম্প স্থাপন করেছে। এসব ক্যাম্প থেকে পূণ্যার্থীদের রান্না করা খাবার ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ হিন্দু কল্যাণ সংস্থার কেন্দ্রীয় সদস্য রনজিৎ মোদক জানান, এবার ললিত সাধুর ঘাট, অন্নপূর্ণা ঘাট, রাজ ঘাট, কালীগঞ্জ ঘাট, মা কুঁড়ি সাধুর ঘাট, মহাত্মা গান্ধী ঘাট, বড়দেশ্বরী ঘাট, জয়কালি ঘাট, রক্ষাকালী ঘাট, প্রেম তলা ঘাট, চর শ্রীরাম ঘাট, সাবদি ঘাট, বাসনকালী ও জগৎবন্ধু ঘাটে স্নান করা হবে।  

লাঙ্গলবন্ধ স্নানোৎসব উদযাপন পরিষদের কার্যকারী সদস্য ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি শংকর সাহা বলেন, ইতোমধ্যে স্নানোৎসবের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। পূণ্যার্থীদের জন্য নদীতে নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে বাঁশের বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে।

তিনি আরও বলেন, এবছর স্নানের তিথি দুইদিন হওয়ায় ভক্তরা শান্তিপূর্ণভাবে স্নান করতে পারবে। শনিবার সকাল ১০টা ১৪ মিনিট থেকে পরদিন রোববার সকাল ৭টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত তিথি রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ভক্তরা স্নান করবেন। দীর্ঘ সময় হওয়ায় এবার ঘাটগুলো ভিড় না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপরও পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০০ থেকে ২৫০ স্বেচ্ছাসেবক কর্মী ২৪ ঘণ্টা কাজ করবে।  

নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মঈনুল হক বলেন, আমাদের ১২শ’ এর বেশি পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় থাকবে। সার্বক্ষণিক সেখানে টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সাদা পোশাকের নিরাপত্তা কর্মীরাও সেখানে থাকবে।  

২০১৫ সালের ২৭ মার্চ সকালে লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা মহাষ্টমী পুণ্য স্নানোৎসবে আসেন। এ সময় বেইলি সেতু ভেঙে পড়ার গুজব ছড়ালে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে ৭ নারীসহ ১০ পুণ্যার্থীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও ৩০ জন আহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।