শুক্রবার (২৩ মার্চ) রাত ৯টার পরে তাকে লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বার্ন ইউনিটের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, কবিরের অবস্থা অবনতি হওয়ায় আমি নিজে গিয়েছি।
এর আগে প্লেন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অর্থপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান বলেন, আহত কবির হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরনো ভবনের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। তার শরীরের জখম থাকা বিভিন্ন স্থানে পচন ধরেছে। ছোটখাটো সার্জারি করা হলেও বড় ধরনের সার্জারি করার মতো অবস্থা তার নেই।
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্লেন দুর্ঘটনায় আহতদের সর্বাত্মক চিকিৎসা চলছে বলেও জানান তিনি।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১। এ দুর্ঘটনায় ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মারা যান। আহত হন ১০ জন। নিহতদের স্মরণে ১৫ মার্চ দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়।
আহত দশজনের মধ্যে গত ১৫ মার্চ প্রথম আহত শেহরিন আহমেদকে নেপাল থেকে ঢাকায় আনা হয়। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ১৬ মার্চ মেহেদী হাসান, সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলিমুন নাহার অ্যানিকে ঢাকায় এনে ঢামেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৭ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে ঢামেকে এনে ভর্তি করানো হয় শেখ রাশেদ রেজওয়ানকে। ১৮ মার্চ শাহীন ব্যাপারী ও সবশেষ ১৯ মার্চ বিকেলে ঢামেকে ভর্তি করা হয় আহত কবির হোসেনকে।
আহত বাকি তিন বাংলাদেশির মধ্যে ইমরানা কবির হাসি ও ডা. রেজওয়ান আহমেদ সিঙ্গাপুরে এবং ইয়াকুব আলী ভারতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এজেডএস/এএ