দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে ধোয়ামোছার কাজ। বাহারি ফুলের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ চত্বর।
দিবসটির প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদানের জন্য একটি সুসজ্জিত দল তাদের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধের গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, বিদেশি কূটনিতিকসহ লাখো মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেবেন। এরজন্য সাভার গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধকে দীর্ঘ প্রায় এক মাস ধরে ধুয়েমুছে, রংতুলির আঁচড়ে, রং-বেরংয়ের ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীসহ সবার নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকা জুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধে আগত দর্শনার্থীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত এবং এর আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দার পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। নিরাপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, উচ্চ মাত্রার সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পুলিশ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিসহ সৌধ এলাকায় থাকবে তিন স্তুরের নিরাপত্তা বলয়। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৪৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সাভার মডেল থানায় স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে সাতজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য এগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
আরআর