রোববার (২৫ মার্চ) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ১১টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, রাষ্ট্রদুতরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের সেকশন ২১, ২৫ ও ২৮ এর বিষয়ে আপত্তি করেছেন।
এসময় জামার্ন রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশ সরকার যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর খসড়া তৈরি করেছেন, আমরা ১১টি দেশের পক্ষ থেকে সেই আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে আমাদের মতামত প্রকাশ করেছি। মূলত মত প্রকাশের বহুমুখী স্বাধীনতায় আইনের অপব্যবহার, এই আইনে শাস্তি, জামিন অযোগ্যর বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।
আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলতে চান কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে অবস্থিত ১১টি দেশের রাষ্ট্রদূত আমার সঙ্গে বৈঠক করার একটি প্রস্তাব পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমার কাছে পাঠিয়েছিলেন। সে বিষয়ে তারা আলোচনা করেছেন। কয়েকটি ধারা নিয়ে তারা বক্তব্য দিয়েছেন।
বৈঠকে জার্মানির রাষ্ট্রদূত থমাস প্রিন্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেন্সজে টিরিংক, সুইডেন রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি চার্লোটা স্কেলটার, যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি জুয়েল রিফম্যান, ডেনমার্ক রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি মাইকেল হেমনিটি উইনথার, ফ্রান্স রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি মারি অ্যানিক বুরডিন, কানাডিয়ান হাই কমিশনারের প্রতিনিধি বিনোট প্রিফন্টেইন, যুক্তরাজ্য রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি কানবার হোসেন বর, স্পেন রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি অ্যালভেরো ডি সালাস জিমেঞ্জ ডি আজক্যারেট, নরওয়ে রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি সিডসেল ব্লেকেন ও সুইজারল্যান্ড রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধি বেট কে এলসাএসার উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
**লর্ড কার্লাইলের মতো আইনজীবী নিয়োগ দুঃখজনক
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এসই/এসএইচ