রোববার (২৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, সরকারিভাবে ২০১৭ সাল থেকে ২৫ শে মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে ২০১৫ সাল থেকে শুরু হয়েছিল যুদ্ধ দলিল প্রজেক্ট। শুরুটা করেছিলেন নাজমুল হাসান লিও। ধীরে ধীরে তার সঙ্গে যুক্ত হয় কয়েকশ স্বেচ্ছাসেবক। মূল উদ্দেশ্য স্বাধীনতা এবং গনহত্যার সঠিক ইতিহাস সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া। নিজ উদ্যোগে তা ছাপিয়ে বিনামূল্যে বিতরণ করে আসছেন তিন বছর ধরে। তাদের এই প্রকল্পের নাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র থেকে বলছি। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এ নামে একটি পেজ আছে তাদের। সেখানে প্রতিদিনই বাংলায় লেখা হয় মুক্তিযুদ্ধের অজানা ইতিহাস।
২৫ জুলাই, ২০১৫ থেকে কার্যক্রম শুরু করেন তারা। বিশ্বকে জানানোর আগে নিজেদের জানানোর জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে মুদ্রিত ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র’ থেকে দেশের বিভিন্ন বিভাগের গণহত্যার ঘটনা নিয়ে বিভাগভিত্তিক সংকলন তৈরি করেন তারা। এই সংকলনগুলো নিজ খরচে ছাপান তারা। এছাড়া যুদ্ধের দলিলে যেসব ইংরেজি অংশ আছে সেগুলো অনুবাদ করেও এই সংকলনগুলোতে যুক্ত করছে তাদের ৩শ’র বেশি স্বেচ্ছাসেবক।
সংগঠনটির ঢাকা জেলার সমন্বয়ক ধীমান দে বলেন, আমাদের মধ্যে যারা সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকরিজীবী কিংবা ব্যবসায়ী আছেন তারা প্রতিমাসে ৫০০-১০০০ টাকা সহায়তা করেন। এই টাকা দিয়ে আমরা বই ছাপিয়ে বিভিন্ন জেলায় স্কুলগুলোতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করি। আমাদের উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার। প্রতিটি পরিবারে যেন তার নিজ জেলায় সংগঠিত গনহত্যার দলিল থাকে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির প্রজেক্ট ম্যানেজার মাইমুনা তাসলিম, জান্নাতুল মনিকাসহ আরও অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এমএএম/এএটি