রোববার (২৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের পরিবারের স্বজনদের কাছে সমবেদনা জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলা বাংলাদেশের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল।
‘পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একের পর এক জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে সব জঙ্গি নেটওয়ার্ক ভেঙে গেছে। এখন জঙ্গিরা কার্যত পঙ্গু হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতিতে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা গেছে। এরপর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে’।
বাংলাদেশ থেমে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসী বিরোধী লড়াই আমাদের অব্যাহত রয়েছে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আরও অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে।
অনুষ্ঠানে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এরপর হলি আর্টিজানে নিহতদের পরিবারের হাতে সমবেদনা স্মারক তুলে দেন মন্ত্রী। ওই হামলায় নিহত ফারাজ আইয়াজ হোসেনের পক্ষে তার বড়ভাই জারেফ আইয়াজ হোসেন, ইসরাত জাহান আখনের পক্ষে তার বড়ভাই আলী হায়দার আখন, অবিন্তা কবিরের পক্ষে তার মামা তানভীর আহমেদ ও ভারতীয় নাগরিক তারিশি জৈনের পক্ষে তার চাচা নিরেন সরকার সমবেদনা স্মারক গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মোখলেসুর রহমান, র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
পিএম/জেডএস