রোববার (২৫ মার্চ) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে শাহীনের অস্ত্রোপচার, শাহরিন ও কবির হোসেনর ড্রেসিং করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার বাংলানিউজকে জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ের অস্ত্রোপচারে শাহীনের পিঠের ডান পাশের কিছু অংশের চামড়া লাগানো হয়েছে।
তিনি জানান, প্লেন দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কবির হোসেনকে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানোর চেষ্টা করছে।
এছাড়া প্লেন দুর্ঘটনায় আহত স্বর্ণা, অ্যানি, মেহেদী ও রুবায়েদ ভালো আছেন। হাসপাতাল থেকে তাদের ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য দু’একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ খন্দকার।
প্লেন দুর্ঘটনায় আহত জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ঢামেক হাসপাতালের অর্থপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান বলেন, আইসিইউতে থাকা কবির হোসেনের ড্রেসিং সম্পন্ন হয়েছে। তিনি এখন লাইফসাপোর্টে আছেন।
আহত কবির হোসেন বড় ছেলে আল-হেলাল ইবনে কবির জানান, তার বাবা লাইফসাপোর্টে আছেন। তার কাছে গেলে ইশারায় কি যেনো বলার চেষ্টা করছেন।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১। এ দুর্ঘটনায় ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২৬ জন মারা যান। আহত হন ১০ জন। নিহতদের স্মরণে ১৫ মার্চ দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়।
আহত দশজনের মধ্যে গত ১৫ মার্চ প্রথম আহত শাহরিন আহমেদকে নেপাল থেকে ঢাকায় আনা হয়। পরে তাকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ১৬ মার্চ মেহেদী হাসান, সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণা ও আলিমুন নাহার অ্যানিকে ঢাকায় এনে ঢামেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
১৭ মার্চ বিকেল ৪টার দিকে ঢামেকে এনে ভর্তি করানো হয় শেখ রাশেদ রেজওয়ানকে। ১৮ মার্চ শাহীন বেপারী ও সবশেষ ১৯ মার্চ বিকেলে ঢামেকে ভর্তি করা হয় আহত কবির হোসেনকে।
আহত বাকি তিন বাংলাদেশির মধ্যে ইমরানা কবির হাসি ও ডা. রেজওয়ান আহমেদ সিঙ্গাপুরে এবং ইয়াকুব আলী ভারতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
এজেডএস/ওএইচ/