রোববার (২৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্কুলের প্রধান গেটের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরাত আলী তার ছেলে ও নিকট আত্মীয়কে গোপনে নিজ স্কুলে নিয়োগ দেন।
সে অনুযায়ী রোববার দুপুরে দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুফাজ্জল হক দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফরাত আলীর ছেলে ফয়সাল মাহমুদ প্রিন্স ও তার নিকট আত্মীয় আসিফ মাহমুদকে গোপনে শিক্ষক ও কর্মচারী পদে নিয়োগের বিষয়টি স্বীকার করেন। এসময় সভায় তুমুল হৈ চৈ ও বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হলে সভা পণ্ড হয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর সভার সভাপতি মুফাজ্জল হক, প্রধান শিক্ষক ফরাত আলী ও তার ছেলে ফয়সাল মাহমুদ প্রিন্স স্কুল থেকে বের হলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় সভাপতি মুফাজ্জল হক পালিয়ে গেলেও জনতার হামলায় প্রধান শিক্ষক ফরাত আলী (৫৭) ও তার ছেলে ফয়সাল মাহমুদ প্রিন্স (৩০) আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হামলার বিষয়ে দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদত হোসেন জানান, হাইস্কুল গেটের সামনে কে বা কারা দৌলতপুর পাইলট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও তার ছেলের ওপর হামলা চালিয়েছে, এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৮
আরএ