রোববার (২৫ মার্চ) বিকেল ৪টায় সিলেট মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতে বিচারক মামুনুর রশিদ সিদ্দিকীকে দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এই কথা স্বীকার করেন হামলাকারী ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ।
গত ১৯ মার্চ সোহাগকে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, ফয়জুলকে বিপথগামী করেছেন তার বন্ধু সোহাগ।
তিনি আরও বলেন, জঙ্গিবাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে সোহাগ বিভিন্ন সময় ফয়জুলকে ইসলামিক বয়ান তথা ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন ধরনের ‘জিহাদি’ ভিডিও মেমোরি কার্ডে দেয়। আর এগুলো অন্যদের দেওয়ার পর সেগুলো নিজের ডেক্সটপে কপি করে রাখতো ফয়জুল। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ মার্চ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে নিজেকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলে, ওয়াজ ও ডকুমেন্টারি দেখে এবং দেশের বাইরে থাকা এক চাচার অনুপ্রেরণায় জাফর ইকবালকে হত্যার টার্গেট করে ফয়জুল।
গত ৩ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলার শিকার হন অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল। তার মাথায় ও হাতে ছুরিকাঘাত করেন ফয়জুল। হামলার পরপরই ফয়জুলকে আটক করে গণপিটুনি দেন শিক্ষার্থীরা। এতে গুরুতর আহত হন ওই হামলাকারী।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৮
এনইউ/আরবি/