সোমবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মনজয়পাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মনজয়পাড়ার মোহাম্মদ সুলতানের ছেলে আবু আহমেদ (৩০), শাহ আলমের ছেলে মো. জসিম (২৫), মৃত আবদুস শুক্কুরের ছেলে নুরুল হাকিম (২৫) ও সোনা মেহের (৩৫)।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী বাংলানিউজকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকাল থেকে পাহাড়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি ড্রেনেজের কাজ করছিলেন ছয় শ্রমিক। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে দুপুরে হঠাৎ পাহাড় ধসে তারা সবাই মাটির নিচে চাপা পড়েন। এদের মধ্যে নুর মোহাম্মদকে স্থানীয়রা জীবিত উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। বাকি পাঁচজনকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তারা ১৫ থেকে ২০ ফুট মাটির নিচে চাপা পড়ে আছেন। এতে ধারণা করা হচ্ছে তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহগুলো উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরোয়ার কামাল বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। জীবিত উদ্ধার করা ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গত বছর প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসে ১২০ জন মারা যায় এবং আহত হয় প্রায় দুই শতাধিক মানুষ। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৮/আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা
আরএ